অমরেশ দত্ত, মানবাজার: বিশ্ব মাতৃ দিবসের বিশেষ দিনে মানবাজার রাধামাধব ইনস্টিটিউশনের পঞ্চম শ্রেণীর ছোট্ট পৃথ্বীরাজের পাশে দাঁড়ালেন এক শিক্ষক প্রদীপ কুমার চন্দ্র।রবিবার বিকেলে বাড়িতে গিয়ে পৃথ্বীরাজের হাতে বই,খাতা ও পড়াশোনার আরো অন্যান্য সামগ্রী, জামা-প্যান্ট,মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন প্রদীপবাবু। মাতৃ দিবসের দিন এই বিশেষ উপহার পেয়ে ছোট্ট পৃথ্বীরাজ খুবই খুশি।
জানা যায়, মানবাজার রাধামাধব ইনস্টিটিউশনের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র পৃথ্বীরাজ দে'র বয়স যখন এক বছর তখন সে তার মা ও বাবাকে হারায়। তখন থেকেই মামা বাড়িতে মানুষ।পৃথ্বীরাজের দিদা রেবা দত্ত বলেন, সেই এক বছর থেকে এইখানেই মানুষ এবং মায়ের মত লালন পালন সবকিছুই করতে হচ্ছে এবং এখানেও করে যাচ্ছি।পৃথ্বীরাজের মামা সত্যেন দত্ত বলেন, ছোট থেকে মামা বাড়িতে মানুষ, কাগজপত্র কোন কিছুর ঠিক ছিল না, এজন্য স্কুলে ভর্তি নেওয়াতে সমস্যা হয়। এরপর মানবাজার রাধা মাধব ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রদীপবাবু আমার ভাগ্নের ভর্তির ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেন।
জানা যায়, মানবাজার রাধামাধব ইনষ্টিটিউশনের শিক্ষক প্রদীপ কুমার চন্দ্রের এ ধরণের ভাবনার কারণ ৪ বছর বয়সে পিতৃহারা। তীব্র কঠোর, কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এক মা কত কষ্ট ও যন্ত্রণা নিয়ে তার সন্তান কে বড়ো করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন। তিলে তিলে কত কাহিনী থাকে।কে তার কথা মনে রাখে। সেই সংগ্রামী মায়ের জীবনের কথা,ভাবনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের দিনে স্মরণে বারে বারে। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মহাশয়ের এ হেন কাজের পরিচয় আমরা আমরা অন্তরালে অনেক ভাবেই দেখে থাকি ভিন্ন ভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়।
আজকের দিনে এই সমস্ত মা ও সন্তানদের জন্য তাই তার সাধ্যমতো নিজ প্রচেষ্টায় কিছু কিছু কাজ করার কথা ভাবেন এবং তা রুপায়নের জন্য এগিয়ে আসেন।প্রদীপ বাবু বলেন, আমরা যদি মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের নিয়ে কিছুটা ভাবতে পারি, তাহলে আমাদের ভাবনাটা পথপ্রদর্শক হবে এবং আগামী প্রজন্ম একটা শিক্ষা লাভ করবে এবং তা জগতের পক্ষে সুদূরপ্রসারী কল্যাণকর বার্তা নিয়ে আসবে।
Tags
Social